সালাম মাহমুদ : পিরোজপুর জেলার গুরুত্বপূর্ণ পিরোজপুর-২ (নেছারাবাদ-কাউখালী-ভান্ডারিয়া) আসনে ক্লীন ইমেজের প্রার্থী হিসেবে কেন্দ্রীয় ছাত্রদল ও কৃষক দলের সাবেক সদস্য, পিরোজপুর জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক ও সহ-সভাপতি এবং স্বরূপকাঠী (নেছারাবাদ) উপজেলার কৃতি সন্তান বিএনপির সাবেক আহবায়ক ও সভাপতি বিশিষ্ট শিপিং ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক মোঃ ফকরুল আলম আলোচনার শীর্ষে রয়েছেন।
প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশনা অনুযায়ী নির্বাচনের তফসিল ডিসেম্বরের প্রথম দিকে ঘোষণা করার কথাও জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন দলের সম্ভাব্য প্রার্থীদের নিজ নিজ এলাকায় দৌড়ঝাপ শুরু হয়েছে।
নির্বাচন সামনে রেখে পিরোজপুর-২ (নেছারাবাদ-কাউখালী-ভান্ডারিয়া) আসনে বিএনপি ও জামায়াতসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সম্ভাব্য প্রার্থীরা তাদের কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে আগাম গণসংযোগ, সভা-সমাবেশ করে নিজেদের প্রার্থীতার জানান দিচ্ছেন।
এবারের বহু কাঙ্খিত নির্বাচনে এ আসনে বিএনপি থেকে বেশ কয়েকজন মনোনয়ন প্রত্যাশী। এসব নেতারা এরইমধ্যে নির্বাচনী এলাকায় কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে গণসংযোগ ও মত বিনিময়সহ বিভিন্ন কর্মসূচীতে অংশগ্রহন করছেন।
এছাড়াও জামায়াত ইসলামী ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত প্রার্থীরাও নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দিতার জন্য মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন। স্থানীয় রাজনৈতিক সচেতন ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে
প্রাচ্যের অক্সফোর্ডখ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জনকারী ফকরুল আলমের ব্যক্তিগত ক্লীন ইমেজের পাশাপাশি তার প্রয়াত পিতা সর্বজন শ্রদ্ধেয় দেশবরণ্যে দানবীরখ্যাত ব্যবসায়ী আলহাজ্ব আব্দুর রহমানের মহানুভবতা, জনপ্রিয়তা ও সুখ্যাতি তার জন্য বাড়তি সুবিধা হিসেবে কাজ করছে।
বাবার জনকল্যাণে প্রতিষ্ঠিত স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, ইয়াতিমখানা, হাসপাতাল, গুচ্ছগ্রামসহ মানবিক এবং শিক্ষা ও সামাজিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে তার অবর্তমানে ফকরুল আলম পৃষ্টপোষকতা করে সবার মন জয় করেছেন। ১৯৮০ সালে তৎকালীণ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে ছাত্রদলে যোগদানের মাধ্যমে ফকরুল আলমের রাজনীতিতে হাতেখড়ি।
তিনি ১৯৮২ সালে ছাত্রদলের ব্যানারে ডাকসু নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন। ১৯৮৬ সালে তিনি সাংগঠনিক যোগ্যতা ও দক্ষতায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির অন্যতম সদস্য হন। ১৯৮৮ সালে তিনি পিরোজপুর জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, ২০০১ সালে জাতীয়তাবাদী কৃষকদলের কেন্দ্রীয় কমিটির অন্যতম সদস্য এবং২০০৯ ও ২০১২ সালে পিরোজপুর জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি নির্বাচিত হন। পরবর্তীতে ২০১৪ সালে তিনি স্বরূপকাঠী (নেছারাবাদ) উপজেলা বিএনপির আহবায়ক ও ২০১৬ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারী অনুষ্ঠিত কাউন্সিলে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সভাপতি নির্বাচিত হন।
জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির অন্যতম সদস্য তিনি। ১৯৮০ সাল থেকে এ পর্যন্ত টানা দীর্ঘ ৪৫ বছর ধরে তিনি শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আদর্শকে ধারণ ও লালন করে দলের একজন নিবেদিতপ্রাণ অকুতোভয় নেতা হিসেবে কেন্দ্র থেকে তৃনমুলে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। হামলা মামলার শিকার হয়েছেন বহুবার।
এ দীর্ঘ সময়ে রাজনীতির কন্টকাকীর্ণ পিচ্ছিল পথে তাকে নানা প্রতিবন্ধকতাকে মোকাবেলা করতে হয়েছে। তবু তিনি বিচলিত কিংবা দমে যাননি বরং নবউদ্যমে এগিয়ে গেছেন, সামনের সারিতে থেকে দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। ওয়ান ইলেভেনসহ আওয়ামী লীগ সরকারের গত ১৭ বছরের শাসনামলে তাকে মিথ্যা মামলাসহ নানা ভাবে নির্যাতন ও হয়রাণির শিকার হতে হয়েছে।
ওয়ান ইলেভেনের চরম সংকট মুহুর্তে তিনি বিএনপি চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করেন এবং টেলিকনফারেন্সের মাধ্যমে এলাকার নেতা-কর্মীদের সঙ্গে তাকে কথা বলিয়ে দেন। এতে নেতা-কর্মীদের মনোবল চাঙ্গা হয়ে তারা উজ্জীবিত হন। দুঃসময়ের ত্যাগী নির্যাতিত, সৎ, দক্ষ ও পরীক্ষিত নেতা হিসেবে ফকরুল আলম দলীয় নেতা-কর্মীসহ নির্বাচনী এলাকার দলমত, শ্রেণী-পেশা নির্বিশেষে আপামর জনতার হৃদয়ে ঠাঁই করে নিয়েছেন।
তিনি ১৯৯৬, ২০০১,২০০৬ (১৫ ফেব্রুয়ারী), ২০০৮ ও ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলের মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন। ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী জিয়া অন্তঃপ্রাণ নেতা ফকরুল আলম বলেন, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্বপ্নের সুখী সমৃদ্ধশালী ও স্বনির্ভর বাংলাদেশ বিনির্মানের দৃপ্ত শপথে দীর্ঘ সাড়ে চার দশক ধরে জাতীয়তাবাদী আদর্শের একজন নিবেদিতপ্রাণ সৈনিক হিসেবে কেন্দ্র থেকে তৃণমূল পর্যন্ত দলকে সুসংগঠিত ও শক্তিশালী করতে নিরলস ও আপসহীনভাবে কাজ করে যাচ্ছি। আমার ঐকান্তিক বিশ্বাস এবার দল আমার দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনের এ ত্যাগ-তিতিক্ষার যোগ্য মুল্যায়ন করবে। আমি দলীয় মনোনয়ন পেলে দলমত, শ্রেণী-পেশা, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে আপামর জনতার অকুন্ঠ সমর্থনে বিজয়ের মধ্যদিয়ে আসনটিকে পুনরুদ্ধার করে দলকে উপহার দেবো এবং নেছারাবাদ, কাউখালী ও ভান্ডারিয়া উপজেলাকে বৈষম্যহীন উন্নত-আধুনিক তিলোত্তমা মডেল উপজেলায় রূপান্তর করবো।
স্বরূপকাঠি (নেছারাবাদ) বিএনপি নেতা সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মী সাইফুল ইসলাম সাইফুল্লাহ বলেন, ফকরুল আলম ভাই সবসময় নেতা-কর্মীদের পাশে যেমন ছিলেন তেমনি এলাকার জনগণের সুখে-দুখে সব সময় পাশে ছিলেন। এলাকার উন্নয়নে ব্যক্তিগত তহবিল থেকে অনেক ব্যয় করেছেন। তাই নেছারাবাদ কাউখালী ভান্ডারিয়া জনগণের প্রত্যাশা ফকরুল আলম ভাই বিএনপির মনোনয়ন পেয়ে ধানের শীষে জয়ী হয়ে পিরোজপুর-২ আসনের উন্নয়নে ব্যাপক অবদান রাখতে পারবেন।
স্বরূপকাঠি (নেছারাবাদ) উপজেলা বিএনপি নেতা ও ৪ নং আটঘর কুড়িয়ানা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান জাকির হোসেন নান্টু বলেন, গত ১৬ বছর যাবৎ উপজেলা বিএনপি সহ ইউনিয়ন বিএনপি নেতাকর্মীদের পাশে ছিলেন ফকরুল ভাই। নেতাকর্মীদের বিপদে-আপদে তিনি সাহায্য সহযোগিতা করেছেন। ৫ আগস্ট ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার পতনের পরে বিএনপি’র ইমেজ যাতে নষ্ট না হয় তিনি নেতা কর্মীদের চাঁদাবাজি সহ বিভিন্ন রকম অপকর্মের বিরোধিতা করেছেন। তার মত ইমেজ সম্পন্ন নেতাই আগামী সংসদ নির্বাচনে এই আসনে বিএনপি’র কান্ডারী হবে এটাই ত্যাগীনেতা কর্মীরা দল থেকে প্রত্যাশা করেন।
নেছারাবাদ উপজেলা কৃষক দলের সাবেক সভাপতি ও ৪ নংআটঘর কুড়িয়ানা ইউনিয়ন বিএনপি’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক সুজন মিত্র মৃত্যুঞ্জয় বলেন, ফকরুল ভাইকে এই আসনে মনোনয়ন দেওয়া হলে সংখ্যালঘু সম্প্রদায় আমরা ভালো থাকবো। দলের প্রতি একটাই দাবি তাঁকে যাতে নমিনেশন দেওয়া হয়। তিনি বিপুল ভোটে পিরোজপুর-২ আসন থেকে জয়লাভ করবেন এবং বিএনপির হাতকে শক্তিশালী করবেন বলে এলাকাবাসী মনে করছেন।
নেছারাবাদ উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মো. জহিরুল ইসলাম বলেন, ফকরুল ভাইকে নমিনেশন দেওয়া হলে এই পিরোজপুর -২ আসনের বিএনপি অনেক শক্তিশালী হবে এবং ত্যাগী নেতাদের যথাযথ মূল্যায়ন হবে। ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি নকিতুল্লাহ বলেন, ফখরুল ভাইয়ের নির্দেশেই হিন্দু অধ্যুষিত আমাদের ৪ নং আটঘর কুড়িয়ানা ইউনিয়নে কোন বিশৃঙ্খলা ঘটতে দেইনি। তিনি আমাদের সব সময় খোঁজখবর রেখেছেন। এমন নেতাকে আমরা সংসদ সদস্য হিসেবে দেখতে চাই।
ব্রেকিং নিউজ :
পিরোজপুর-২ আসনে আলোচনার শীর্ষে বিএনপির ফকরুল আলম
-
Reporter Name - Update Time : ০২:৪৪:০২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ অক্টোবর ২০২৫
- ৪৬ Time View
Tag :
জনপ্রিয় সংবাদ













