অস্টেলিয়া ০৩:০০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৩ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ :
বাংলাদেশি কর্মী নিতে আগ্রহী আলবেনিয়া বিশ্ববাঙালী সংসদ বাংলাদেশের নবনির্বাচিত কমিটির অভিষেক ও সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে হাতপাখা মার্কার গণসংযোগ সাগর তলের বিস্ময় কক্সবাজারের রেডিয়েন্ট ফিস ওয়ার্ল্ড কলম্বাস ওহাইওতে ভ্রাম্যমাণ দূতাবাস সেবা সন্তুষ্ট প্রবাসী বাংলাদেশীরা সানোয়ার খান “ন্যাশনাল ইনফ্লুয়েন্স অ্যাওয়ার্ড-২০২৫” এ ভূষিত উপজেলা নির্বাহীর স্বাক্ষর জাল: কারাগারে বরগুনার গ্রন্থাগারিক হারুন কলম্বাস ওহাইওতে ভ্রাম্যমান দূতাবাস সেবা  ক্যালিফোর্নিয়া বিএনপির উদ্যোগে ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত সৈয়দপুরে পোল্ট্রি গবেষণা আঞ্চলিক কেন্দ্র উদ্বোধন ও কর্মশালা অনুষ্ঠিত

জিম্বাবুয়েকে ধসিয়ে ইনিংস ব্যবধানে জয় বাংলাদেশের

  • Reporter Name
  • Update Time : ০১:৩৬:৩৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫
  • ৩৯৪ Time View

সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে জিম্বাবুয়েকে ইনিংস ও ১০৬ রানে হারিয়ে সিরিজ ড্র করল বাংলাদেশ। মিরাজ-তাইজুলের ঘুর্ণিতে দ্বিতীয় ইনিংসে মাত্র ১১১ রানে গুটিয়ে যায় জিম্বাবুয়ে। প্রথম ইনিংসে উইকেট শুন্য থাকলেও টেস্টের তৃতীয় দিনের শেষ সেশনে একাই ৫ উইকেট নিয়ে জিম্বাবুয়ের দ্বিতীয় ইনিংস ধসিয়ে দেন তিনি। এর আগে সেঞ্চুরি করে বাংলাদেশকে বড় লিড এনে দিয়েছিলেন মিরাজ।

প্রথম টেস্ট হারার পর সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে ছিল লজ্জা এড়ানোর চ্যালেঞ্জ। মিরাজের অলরাউন্ডার নৈপূন্যে সেই চ্যালেঞ্চি উতরে গেল বাংলাদেশ।

চট্টগ্রামে বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ইনিংসে ২২৭ রান করেছিল জিম্বাবুয়ে। জবাবে বাংলাদেশ নিজেদের প্রথম ইনিংসে দুই সেঞ্চুরিতে ৪৪৪ রান করে। ২১৭ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ১১১ রানে অলআউট হয় জিম্বাবুয়ে। ফলে ইনিংস এবং ১০৬ রানের ব্যবধানে জিতেছে বাংলাদেশ।

বড় লিড মাথায় নিয়ে ব্যাট করতে নেমে চাপেই যেন শেষ জিম্বাবুয়ের টপ অর্ডার! বাংলাদেশের হয়ে বল হাতে ইনিংস ওপেন করেন তাইজুল ইসলাম। প্রথম ইনিংসে ৬ উইকেট পাওয়া এই বাঁহাতি স্পিনারেই নতুন বলে ভরসা রাখেন নাজমুল হোসেন শান্ত। অধিনায়কের আস্থার প্রতিদানও দিয়েছেন তাইজুল।

ইনিংসের ৭ম ওভারেই বাংলাদেশকে ব্রেকথ্রু এনে দেন তাইজুল। এই স্পিনারের অফ স্টাম্পের বাইরের বলে ডিফেন্স করার চেষ্টা করেন ব্রায়ান বেনেট। তবে আউট সাইড এজে বল চলে যায় দ্বিতীয় স্লিপে। সেখানে দাঁড়িয়ে থাকা সাদমান ইসলাম সহজেই তালুবন্দি করেন। ৬ রান করে এই ওপেনার ফেরায় ৮ রানেই ভাঙে উদ্বোধনী জুটি।

দুই বল পরই রোডেশিয়ান শিবিরে আবারো আঘাত হানেন তাইজুল। এবার তার শিকার নিক ওয়েলচ। এই টপঅর্ডার ব্যাটারকে রীতিমতো বোকা বানিয়েছেন তাইজুল। বাইরে দিয়ে বের হয়ে যাবে ভেবে বল ছেড়ে দিয়েছিলেন, তবে আঘাত হানে তার প্যাডে। এতে লেগ বিফোরের আবেদনে আম্পায়ার সাড়া না দিলে রিভিউ নেয় বাংলাদেশ, তাতে সিদ্ধান্ত বদলে যায়। ২ বল খেলে ডাক খেয়েছেন ওয়েলচ।

১১তম ওভারে প্রথমবার আক্রমণে এসেই উইকেটের দেখা পেয়েছেন নাঈম ইসলাম। এই অফ স্পিনারের টার্ন পড়তে পারেননি শন উইলিয়ামস। আউট সাইড এজে বল চলে যায় দ্বিতীয় স্লিপে। সেখানে দাঁড়িয়ে থাকা সাদমান এবারও দুর্দান্ত ক্যাচ নেন। ১৭ বল খেলে ৭ রানের বেশি করতে পারেননি এই অভিজ্ঞ ব্যাটার। উইলিয়ামস দ্রুত ফেরায় ২২ রানের মধ্যেই তিন উইকেট হারায় জিম্বাবুয়ে।

এরপর ক্রেগ আরভিন ও বেন কারান মিলে দলকে টেনে তোলার চেষ্টা করেন। বড় হতে যাওয়া সেই জুটি ভেঙেছেন মিরাজ। আরভিনকে ৩০তম ওভারের প্রথম বলে এই অভিজ্ঞ ব্যাটারকে বোল্ড করেন মিরাজ। একই ওভারের শেষ বলে ওয়েসলি মাদেভারেকেও সাজঘরে ফিরিয়েছেন এই অফ স্পিনার।

নিজের পরের ওভারে ফিরেও উইকেট পেয়েছেন মিরাজ। তাফাদা সিগা এনামুল বিজয়ের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বল হাতে ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠেন মিরাজ। এরপর ওয়েলিংটন মাসাকাদজা এবং বেন কারানকে ফিরিয়ে ইনিংসে ফাইফার পূরণ করেন মিরাজ। তাতে তৃতীয় বাংলাদেশি হিসেবে একই টেস্টে সেঞ্চুরি ও ফাইফারের কৃতিত্ব দেখান এই অলরাউন্ডার।

শেষ দিকেলে বোলিংয়ে ফিরে জিম্বাবুয়ের লেজ ছাঁটাইয়ে যোগ দেন তাইজুলও। ৪৩তম ওভারে রিচার্ড এনগারাভাকে ফেরান এই বাঁহাতি স্পিনার। শেষ ব্যাটার হিসেবে রান আউট হয়েছে মাসাকেসা। সবমিলিয়ে ম্যাচে ৯ উইকেট শিকার করেছেন তাইজুল। আরেক স্পিনার মিরাজে পেয়েছেন ৫ উইকেট। এ ছাড়া নাঈম হাসান পেয়েছেন ৩ উইকেট।

Tag :
About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

বাংলাদেশি কর্মী নিতে আগ্রহী আলবেনিয়া

জিম্বাবুয়েকে ধসিয়ে ইনিংস ব্যবধানে জয় বাংলাদেশের

Update Time : ০১:৩৬:৩৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫

সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে জিম্বাবুয়েকে ইনিংস ও ১০৬ রানে হারিয়ে সিরিজ ড্র করল বাংলাদেশ। মিরাজ-তাইজুলের ঘুর্ণিতে দ্বিতীয় ইনিংসে মাত্র ১১১ রানে গুটিয়ে যায় জিম্বাবুয়ে। প্রথম ইনিংসে উইকেট শুন্য থাকলেও টেস্টের তৃতীয় দিনের শেষ সেশনে একাই ৫ উইকেট নিয়ে জিম্বাবুয়ের দ্বিতীয় ইনিংস ধসিয়ে দেন তিনি। এর আগে সেঞ্চুরি করে বাংলাদেশকে বড় লিড এনে দিয়েছিলেন মিরাজ।

প্রথম টেস্ট হারার পর সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে ছিল লজ্জা এড়ানোর চ্যালেঞ্জ। মিরাজের অলরাউন্ডার নৈপূন্যে সেই চ্যালেঞ্চি উতরে গেল বাংলাদেশ।

চট্টগ্রামে বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ইনিংসে ২২৭ রান করেছিল জিম্বাবুয়ে। জবাবে বাংলাদেশ নিজেদের প্রথম ইনিংসে দুই সেঞ্চুরিতে ৪৪৪ রান করে। ২১৭ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ১১১ রানে অলআউট হয় জিম্বাবুয়ে। ফলে ইনিংস এবং ১০৬ রানের ব্যবধানে জিতেছে বাংলাদেশ।

বড় লিড মাথায় নিয়ে ব্যাট করতে নেমে চাপেই যেন শেষ জিম্বাবুয়ের টপ অর্ডার! বাংলাদেশের হয়ে বল হাতে ইনিংস ওপেন করেন তাইজুল ইসলাম। প্রথম ইনিংসে ৬ উইকেট পাওয়া এই বাঁহাতি স্পিনারেই নতুন বলে ভরসা রাখেন নাজমুল হোসেন শান্ত। অধিনায়কের আস্থার প্রতিদানও দিয়েছেন তাইজুল।

ইনিংসের ৭ম ওভারেই বাংলাদেশকে ব্রেকথ্রু এনে দেন তাইজুল। এই স্পিনারের অফ স্টাম্পের বাইরের বলে ডিফেন্স করার চেষ্টা করেন ব্রায়ান বেনেট। তবে আউট সাইড এজে বল চলে যায় দ্বিতীয় স্লিপে। সেখানে দাঁড়িয়ে থাকা সাদমান ইসলাম সহজেই তালুবন্দি করেন। ৬ রান করে এই ওপেনার ফেরায় ৮ রানেই ভাঙে উদ্বোধনী জুটি।

দুই বল পরই রোডেশিয়ান শিবিরে আবারো আঘাত হানেন তাইজুল। এবার তার শিকার নিক ওয়েলচ। এই টপঅর্ডার ব্যাটারকে রীতিমতো বোকা বানিয়েছেন তাইজুল। বাইরে দিয়ে বের হয়ে যাবে ভেবে বল ছেড়ে দিয়েছিলেন, তবে আঘাত হানে তার প্যাডে। এতে লেগ বিফোরের আবেদনে আম্পায়ার সাড়া না দিলে রিভিউ নেয় বাংলাদেশ, তাতে সিদ্ধান্ত বদলে যায়। ২ বল খেলে ডাক খেয়েছেন ওয়েলচ।

১১তম ওভারে প্রথমবার আক্রমণে এসেই উইকেটের দেখা পেয়েছেন নাঈম ইসলাম। এই অফ স্পিনারের টার্ন পড়তে পারেননি শন উইলিয়ামস। আউট সাইড এজে বল চলে যায় দ্বিতীয় স্লিপে। সেখানে দাঁড়িয়ে থাকা সাদমান এবারও দুর্দান্ত ক্যাচ নেন। ১৭ বল খেলে ৭ রানের বেশি করতে পারেননি এই অভিজ্ঞ ব্যাটার। উইলিয়ামস দ্রুত ফেরায় ২২ রানের মধ্যেই তিন উইকেট হারায় জিম্বাবুয়ে।

এরপর ক্রেগ আরভিন ও বেন কারান মিলে দলকে টেনে তোলার চেষ্টা করেন। বড় হতে যাওয়া সেই জুটি ভেঙেছেন মিরাজ। আরভিনকে ৩০তম ওভারের প্রথম বলে এই অভিজ্ঞ ব্যাটারকে বোল্ড করেন মিরাজ। একই ওভারের শেষ বলে ওয়েসলি মাদেভারেকেও সাজঘরে ফিরিয়েছেন এই অফ স্পিনার।

নিজের পরের ওভারে ফিরেও উইকেট পেয়েছেন মিরাজ। তাফাদা সিগা এনামুল বিজয়ের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বল হাতে ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠেন মিরাজ। এরপর ওয়েলিংটন মাসাকাদজা এবং বেন কারানকে ফিরিয়ে ইনিংসে ফাইফার পূরণ করেন মিরাজ। তাতে তৃতীয় বাংলাদেশি হিসেবে একই টেস্টে সেঞ্চুরি ও ফাইফারের কৃতিত্ব দেখান এই অলরাউন্ডার।

শেষ দিকেলে বোলিংয়ে ফিরে জিম্বাবুয়ের লেজ ছাঁটাইয়ে যোগ দেন তাইজুলও। ৪৩তম ওভারে রিচার্ড এনগারাভাকে ফেরান এই বাঁহাতি স্পিনার। শেষ ব্যাটার হিসেবে রান আউট হয়েছে মাসাকেসা। সবমিলিয়ে ম্যাচে ৯ উইকেট শিকার করেছেন তাইজুল। আরেক স্পিনার মিরাজে পেয়েছেন ৫ উইকেট। এ ছাড়া নাঈম হাসান পেয়েছেন ৩ উইকেট।