অস্টেলিয়া ১১:৩১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৩ অগাস্ট ২০২৫, ২৯ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু করল নেপাল

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৫:৩৬:১০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪
  • ৬১ Time View

বাংলাদেশে আনুষ্ঠানিকভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু করেছে নেপাল। এরমাধ্যমে ভারতের পর তৃতীয় কোনো দেশে প্রথমবারের মতো বিদ্যুৎ রপ্তানি করল হিমালয়ের দেশটি। সব মিলিয়ে বাংলাদেশে ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাঠাবে দেশটি।

শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) ত্রিপক্ষীয় চুক্তি অনুযায়ী ভারত হয়ে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ পাঠানো শুরু করে নেপাল। এর আগে এক ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে তিন দেশের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীদের উপস্থিতিতে এ কার্যক্রম শুরু হয়।

নেপাল সরকার আয়োজিত এক ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বাংলাদেশের জ্বালানি উপদেষ্টা মো. ফওজুল কবির খান, ভারতের বিদ্যুৎ এবং গৃহায়ণ এবং নগর বিষয়ক মন্ত্রী মনোহর লাল এবং নেপালের জ্বালানি, পানিসম্পদ ও সেচ মন্ত্রী দীপক খাদকা যৌথভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহ উদ্বোধন করেন।

নয়াদিল্লির এক সরকারি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই ‘ঐতিহাসিক’ মুহূর্তটি প্রথম ত্রিপক্ষীয় বিদ্যুৎ সরবরাহ, যা ভারতীয় গ্রিডের মাধ্যমে পাঠানো হচ্ছে।’ এতে বিদ্যুৎ খাতে আঞ্চলিক সহযোগিতা বাড়বে বলে আশা করছে তারা।

নেপাল বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষের মুখপাত্র চন্দন কুমার ঘোষ চীনা সংবাদমাধ্যম সিনহুয়াকে বলেন, ত্রিপক্ষীয় চুক্তি অনুযায়ী ২০২৪ সালে বাংলাদেশের কাছে নেপাল মাত্র একদিন বিদ্যুৎ বিক্রি করতে পারবে। এরপর ২০২৫ সালের ১৫ জুন থেকে আবারও বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হবে।

যেহেতু বাংলাদেশ ও নেপালের মধ্যে সরাসরি বৈদ্যুতিক সংযোগ নেই। তাই ভারতের সঞ্চালন লাইন হয়ে এই বিদ্যুৎ আসছে। তবে ভারতের গ্রিডের সঙ্গে বাংলাদেশের গ্রিডের সংযোগে খুব বেশি বাড়তি ক্যাপাসিটি না থাকায় নেপাল মাত্র ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাঠাতে পারবে। কিন্তু ভবিষ্যতে যদি সঞ্চালন লাইনের ক্যাপাসিটি বৃদ্ধি করা হয় তাহলে নেপাল আরও বেশি পরিমাণে বিদ্যুৎ পাঠাতে পারবে বলে জানিয়েছেন মুখপাত্র চন্দন কুমার ঘোষ।

চলতি বছরের মে-জুনে নেপালের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী পুষ্পকমল দাহল প্রচণ্ড ভারত সফরের বাংলাদেশে জলবিদ্যুৎ সরবরাহের বিষয়ে ত্রিপক্ষীয় চুক্তির ঘোষণা দিয়েছিলেন। পরে ৩ অক্টোবর এ চুক্তি সই হয়।

দেশটি বাংলাদেশে বিদ্যুৎ পাঠাবে তাদের দুটি কেন্দ্র থেকে। এরমধ্য ২৫ মেগাওয়াট ত্রিশূলি আর ২২ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আসবে চিলমি হাইড্রোপাওয়ার প্রজেক্ট থেকে।

চুক্তি অনুযায়ী, নেপাল প্রতি বছর ১৫ জুন থেকে ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত ভারতের ভেতরের সঞ্চালন লাইন দিয়ে বাংলাদেশে উদ্বৃত্ত বিদ্যুৎ রফতানি করবে। ইউনিট বিদ্যুতের দাম নির্ধারণ করা হয় ৬ দশমিক ৪ সেন্ট (১০০ সেন্টে ১ ডলার)। বাংলাদেশী মুদ্রায় যা প্রায় সাড়ে সাত টাকা।

নেপাল ২০২১ সালের নভেম্বর থেকে ভারতে বিদ্যুৎ সরবরাহ করছিল। বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমে তারা অতিরিক্ত জলবিদ্যুৎ উৎপন্ন করে থাকে বলে এগুলো রপ্তানি করতে পারে।

Tag :
About Author Information

বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু করল নেপাল

Update Time : ০৫:৩৬:১০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪

বাংলাদেশে আনুষ্ঠানিকভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু করেছে নেপাল। এরমাধ্যমে ভারতের পর তৃতীয় কোনো দেশে প্রথমবারের মতো বিদ্যুৎ রপ্তানি করল হিমালয়ের দেশটি। সব মিলিয়ে বাংলাদেশে ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাঠাবে দেশটি।

শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) ত্রিপক্ষীয় চুক্তি অনুযায়ী ভারত হয়ে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ পাঠানো শুরু করে নেপাল। এর আগে এক ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে তিন দেশের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীদের উপস্থিতিতে এ কার্যক্রম শুরু হয়।

নেপাল সরকার আয়োজিত এক ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বাংলাদেশের জ্বালানি উপদেষ্টা মো. ফওজুল কবির খান, ভারতের বিদ্যুৎ এবং গৃহায়ণ এবং নগর বিষয়ক মন্ত্রী মনোহর লাল এবং নেপালের জ্বালানি, পানিসম্পদ ও সেচ মন্ত্রী দীপক খাদকা যৌথভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহ উদ্বোধন করেন।

নয়াদিল্লির এক সরকারি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই ‘ঐতিহাসিক’ মুহূর্তটি প্রথম ত্রিপক্ষীয় বিদ্যুৎ সরবরাহ, যা ভারতীয় গ্রিডের মাধ্যমে পাঠানো হচ্ছে।’ এতে বিদ্যুৎ খাতে আঞ্চলিক সহযোগিতা বাড়বে বলে আশা করছে তারা।

নেপাল বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষের মুখপাত্র চন্দন কুমার ঘোষ চীনা সংবাদমাধ্যম সিনহুয়াকে বলেন, ত্রিপক্ষীয় চুক্তি অনুযায়ী ২০২৪ সালে বাংলাদেশের কাছে নেপাল মাত্র একদিন বিদ্যুৎ বিক্রি করতে পারবে। এরপর ২০২৫ সালের ১৫ জুন থেকে আবারও বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হবে।

যেহেতু বাংলাদেশ ও নেপালের মধ্যে সরাসরি বৈদ্যুতিক সংযোগ নেই। তাই ভারতের সঞ্চালন লাইন হয়ে এই বিদ্যুৎ আসছে। তবে ভারতের গ্রিডের সঙ্গে বাংলাদেশের গ্রিডের সংযোগে খুব বেশি বাড়তি ক্যাপাসিটি না থাকায় নেপাল মাত্র ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাঠাতে পারবে। কিন্তু ভবিষ্যতে যদি সঞ্চালন লাইনের ক্যাপাসিটি বৃদ্ধি করা হয় তাহলে নেপাল আরও বেশি পরিমাণে বিদ্যুৎ পাঠাতে পারবে বলে জানিয়েছেন মুখপাত্র চন্দন কুমার ঘোষ।

চলতি বছরের মে-জুনে নেপালের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী পুষ্পকমল দাহল প্রচণ্ড ভারত সফরের বাংলাদেশে জলবিদ্যুৎ সরবরাহের বিষয়ে ত্রিপক্ষীয় চুক্তির ঘোষণা দিয়েছিলেন। পরে ৩ অক্টোবর এ চুক্তি সই হয়।

দেশটি বাংলাদেশে বিদ্যুৎ পাঠাবে তাদের দুটি কেন্দ্র থেকে। এরমধ্য ২৫ মেগাওয়াট ত্রিশূলি আর ২২ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আসবে চিলমি হাইড্রোপাওয়ার প্রজেক্ট থেকে।

চুক্তি অনুযায়ী, নেপাল প্রতি বছর ১৫ জুন থেকে ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত ভারতের ভেতরের সঞ্চালন লাইন দিয়ে বাংলাদেশে উদ্বৃত্ত বিদ্যুৎ রফতানি করবে। ইউনিট বিদ্যুতের দাম নির্ধারণ করা হয় ৬ দশমিক ৪ সেন্ট (১০০ সেন্টে ১ ডলার)। বাংলাদেশী মুদ্রায় যা প্রায় সাড়ে সাত টাকা।

নেপাল ২০২১ সালের নভেম্বর থেকে ভারতে বিদ্যুৎ সরবরাহ করছিল। বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমে তারা অতিরিক্ত জলবিদ্যুৎ উৎপন্ন করে থাকে বলে এগুলো রপ্তানি করতে পারে।