অস্টেলিয়া ০৩:৩২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ অগাস্ট ২০২৫, ২৮ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রণে মানতে হবে যে নির্দেশনা

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৩:২৬:০০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪
  • ৪৮০ Time View

শারীরিক ভাবে সুস্থ থাকতে হলে প্রতিদিন শারীরকে সচল রাখার কার্যক্রম করা বাঞ্ছনীয়। তবে শরীরে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে শুধুমাত্র শরীরচর্চাই যথেষ্ট নয়। রক্তে শর্করার মাত্রা বৃদ্ধি পাওয়া এখনকার যুগের বেশ সাধারণ একটি সমস্যা। একে নিয়ন্ত্রণে রাখতে দৈনিক জীবন যাপনের ধরণ পরিবর্তন করা বেশ উপকারী।

১. স্বাস্থ্যকর খাবার: শুধু ডায়বেটিস নয়, যেকোনো ধরনের রোগ থেকে মুক্ত থাকতেই ভালো অভ্যাসের বিকল্প নেই। এজন্য সবসময় সুষম খাবার খাওয়া জরুরি। যেমন শস্যজাতীয় খাবার, তাজা ফল, শাক-সবজি, চর্বিহীন আমিষ ইত্যাদি। এছাড়া বাইরের বা প্রক্রিয়াজাত করা খাবার, মিষ্টি স্বাদের স্ন্যাকস, মিষ্টিজাতীয় খাবার রক্তে চিনির পরিমাণ বাড়িয়ে দিতে পারে।

২. শরীর চর্চা: ডায়বেটিসে আক্রান্ত রোগীদের নিত্যদিনের কাজের মধ্যে হাঁটা অন্যতম। এছাড়াও কমপক্ষে প্রতিদিন ৩০ মিনিট করে শরীর চর্চা করা প্রয়োজন। তবে তাই বলে যে বেশ আয়োজনে ব্যায়াম করতে হবে তা নয়। সাঁতার কাটা, সাইকেল চালানো বা ভারি জিনিস বহন করার মাধ্যমেও ব্যায়াম করা যেতে পারে।

৩. ওজন নিয়ন্ত্রণ: ডায়বেটিসের রোগীদের জন্য ওজন নিয়ন্ত্রণ করা খুব জরুরি। কারণ সামান্য পরিমাণ ওজন কমাতে পারলেও তা অনেক উপকারী প্রভাব ফেলতে পারে। বয়স ও উচ্চতা অনুযায়ী সঠিক ওজন কত এবং কিভাবে তা বজায় রাখা যায় তা চিকিৎসক বা ডায়েটেশিয়ানের কাছে থেকে জেনে নিতে পারেন।

৪. রক্তে শর্করার পরিমাণ পরিমাপ: ডায়বেটিস ধরা পড়লে সবসময় রক্তে শর্করার পরিমাণের রেকর্ড তৈরি করুন। ওজন, খাদ্যতালিকা এবয় চিকিৎসা নিয়ম তান্ত্রিকভাবে চালানোর জন্য এই রেকর্ড থাকা প্রয়োজন। গ্লুকোজ মিটার বা গ্লুকোজ মনিটরিং সিস্টেমের মাধ্যমে রক্তে শর্করার রেকর্ড রাখা যায়।

৫. চিকিৎসকরে পরামর্শ: ডায়বেটিস রোগকে কখনো হেলা করা উচিত নয়। ডায়বেটিস ধরা পড়লে অবশ্যই অভিজ্ঞ চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে। তাদের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে। তার পাশাপাশি খাদ্যাভ্যাস এবং জীবনধারাকে পরিবর্তন করতে হবে।

৬. নিয়মিত চ্যেকআপ: ডায়বেটিস একবার নিয়ন্ত্রণে চলে আসলেই বিপদ কেটে গেছে, এই ধারণা ভুল। ডায়বেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের নিয়মিত চিকিৎসকদের সকল পরামর্শ মেনে চলতে হয়। ডায়বেটিস কখনো পুরোপুরি নির্মূল করা সম্ভব নয়। তাই ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে নিয়মিত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

Tag :
About Author Information

ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রণে মানতে হবে যে নির্দেশনা

Update Time : ০৩:২৬:০০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪

শারীরিক ভাবে সুস্থ থাকতে হলে প্রতিদিন শারীরকে সচল রাখার কার্যক্রম করা বাঞ্ছনীয়। তবে শরীরে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে শুধুমাত্র শরীরচর্চাই যথেষ্ট নয়। রক্তে শর্করার মাত্রা বৃদ্ধি পাওয়া এখনকার যুগের বেশ সাধারণ একটি সমস্যা। একে নিয়ন্ত্রণে রাখতে দৈনিক জীবন যাপনের ধরণ পরিবর্তন করা বেশ উপকারী।

১. স্বাস্থ্যকর খাবার: শুধু ডায়বেটিস নয়, যেকোনো ধরনের রোগ থেকে মুক্ত থাকতেই ভালো অভ্যাসের বিকল্প নেই। এজন্য সবসময় সুষম খাবার খাওয়া জরুরি। যেমন শস্যজাতীয় খাবার, তাজা ফল, শাক-সবজি, চর্বিহীন আমিষ ইত্যাদি। এছাড়া বাইরের বা প্রক্রিয়াজাত করা খাবার, মিষ্টি স্বাদের স্ন্যাকস, মিষ্টিজাতীয় খাবার রক্তে চিনির পরিমাণ বাড়িয়ে দিতে পারে।

২. শরীর চর্চা: ডায়বেটিসে আক্রান্ত রোগীদের নিত্যদিনের কাজের মধ্যে হাঁটা অন্যতম। এছাড়াও কমপক্ষে প্রতিদিন ৩০ মিনিট করে শরীর চর্চা করা প্রয়োজন। তবে তাই বলে যে বেশ আয়োজনে ব্যায়াম করতে হবে তা নয়। সাঁতার কাটা, সাইকেল চালানো বা ভারি জিনিস বহন করার মাধ্যমেও ব্যায়াম করা যেতে পারে।

৩. ওজন নিয়ন্ত্রণ: ডায়বেটিসের রোগীদের জন্য ওজন নিয়ন্ত্রণ করা খুব জরুরি। কারণ সামান্য পরিমাণ ওজন কমাতে পারলেও তা অনেক উপকারী প্রভাব ফেলতে পারে। বয়স ও উচ্চতা অনুযায়ী সঠিক ওজন কত এবং কিভাবে তা বজায় রাখা যায় তা চিকিৎসক বা ডায়েটেশিয়ানের কাছে থেকে জেনে নিতে পারেন।

৪. রক্তে শর্করার পরিমাণ পরিমাপ: ডায়বেটিস ধরা পড়লে সবসময় রক্তে শর্করার পরিমাণের রেকর্ড তৈরি করুন। ওজন, খাদ্যতালিকা এবয় চিকিৎসা নিয়ম তান্ত্রিকভাবে চালানোর জন্য এই রেকর্ড থাকা প্রয়োজন। গ্লুকোজ মিটার বা গ্লুকোজ মনিটরিং সিস্টেমের মাধ্যমে রক্তে শর্করার রেকর্ড রাখা যায়।

৫. চিকিৎসকরে পরামর্শ: ডায়বেটিস রোগকে কখনো হেলা করা উচিত নয়। ডায়বেটিস ধরা পড়লে অবশ্যই অভিজ্ঞ চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে। তাদের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে। তার পাশাপাশি খাদ্যাভ্যাস এবং জীবনধারাকে পরিবর্তন করতে হবে।

৬. নিয়মিত চ্যেকআপ: ডায়বেটিস একবার নিয়ন্ত্রণে চলে আসলেই বিপদ কেটে গেছে, এই ধারণা ভুল। ডায়বেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের নিয়মিত চিকিৎসকদের সকল পরামর্শ মেনে চলতে হয়। ডায়বেটিস কখনো পুরোপুরি নির্মূল করা সম্ভব নয়। তাই ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে নিয়মিত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।