অস্টেলিয়া ০৩:৩৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ অগাস্ট ২০২৫, ২৮ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মরক্কোয় ৭৮ ভাষায় অনূদিত কোরআন প্রদর্শনী

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৩:৫৫:২৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫
  • ২৪৬ Time View

মরক্কোর একটি প্রদর্শনীতে ৭৮ ভাষায় অনূদিত কোরআনের কপি উপস্থাপন করা হয়েছে। দেশটির রাজধানী মারাকেশের সাংস্কৃতিক কমপ্লেক্সে ‘জুসর’ শিরোনামে আয়োজিত প্রদর্শনীর দ্বিতীয় আসর। জুসর অর্থ মূল সম্পর্ক।

১০ মে শুরু হওয়া এই প্রদর্শনীর লক্ষ্য- মরক্কো এবং সৌদি আরবের ঐতিহাসিক সম্পর্ককে জোরদার এবং বিরল ইসলামি পাণ্ডুলিপি ও শিল্পকর্ম প্রদর্শন করা। সেই সঙ্গে ইসলামের মধ্যপন্থা নীতি ও ভারসাম্যের মূল্যবোধ ছড়িয়ে দেওয়া। সৌদি আরব ও মরক্কোর ইসলাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এই প্রদর্শনী চলবে ২০ মে পর্যন্ত।

প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন সৌদি আরবের ইসলাম বিষয়ক মন্ত্রী শায়খ আবদুল লতিফ বিন আবদুল আজিজ বিন আবদুর রহমান আলে-শায়খ। এ সময় মরক্কোর ইসলাম বিষয়ক মন্ত্রী আহমেদ তওফিক, রাবাতে নিযুক্ত সৌদি রাষ্ট্রদূত সামি বিন আবদুল্লাহ আল-সালেহ এবং মারাকেশের গভর্নর ফরিদ চৌরাকসহ দুই দেশের উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অতিথিরা দুই দেশের ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক নানাদিক তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন।

প্রদর্শনীতে ৭৮ ভাষায় অনূদিত কোরআনের পাশাপাশি রয়েছে বিরল পাণ্ডুলিপি, ইসলামি কর্ম, ঐতিহাসিক মসজিদ পরিচিতি, হজ অনুষ্ঠানের ইতিহাস, বিখ্যাত কারিদের কণ্ঠে কোরআন তেলাওয়াত এবং আরবি ক্যালিগ্রাফি। প্রদর্শনীতে শিশুদের জন্য আলাদা ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

অনুষ্ঠানে সৌদি মন্ত্রী শায়খ আবদুল লতিফ বলেন, প্রদর্শনীটি ইসলাম ও মুসলমানদের সেবায় নিবেদিত। দুই দেশের বিভিন্ন কার্যক্রমের লক্ষ্য হলো, প্রকৃত ইসলামি মূল্যবোধ সমুন্নত রাখা। দুই দেশের মধ্যকার চলমান সম্পর্কের প্রশংসা করে তিনি বলেন, এ মূলে রয়েছে ধর্মের গভীর ভিত্তি। এ সময় তিনি উভয় দেশের গৃহীত মানবিক উদ্যোগ নিয়েও কথা বলেন। যা ইসলামের মহত্ত্ব এবং সভ্যতাকে প্রতিফলিত করে।

প্রদর্শনীর সৌদি প্যাভিলিয়নে প্রদর্শিত হচ্ছে ৭৮ ভাষায় অনূদিত কোরআন। যেগুলো ছাপা হয়েছে সৌদি আরবের কিং ফাহাদ কোরআন মুদ্রণ কমপ্লেক্স মদিনায়। সৌদি প্যাভিলিয়নে আরও রয়েছে কোরআন মুদ্রণের সরঞ্জাম এবং মুদ্রণের আগের ধাপ নিয়ে বিশেষ প্রামাণ্য চিত্র।

উল্লেখ্য, কিং ফাহাদ কোরআন মুদ্রণ কমপ্লেক্স বিশ্বের বৃহত্তম কোরআন মুদ্রণ সংস্থা। ১৯৮৫ সালে স্থাপিত এই প্রতিষ্ঠান থেকে কোরআনে কারিমের ৪০ কোটিরও বেশি কপি ছাপা হয়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কোরআন ছড়িয়ে দেওয়া এবং ইসলামি মূল্যবোধকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়ার জন্য এই প্রতিষ্ঠানের অবদান বিশ্বজুড়ে স্বীকৃত।

Tag :
About Author Information

মরক্কোয় ৭৮ ভাষায় অনূদিত কোরআন প্রদর্শনী

Update Time : ০৩:৫৫:২৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫

মরক্কোর একটি প্রদর্শনীতে ৭৮ ভাষায় অনূদিত কোরআনের কপি উপস্থাপন করা হয়েছে। দেশটির রাজধানী মারাকেশের সাংস্কৃতিক কমপ্লেক্সে ‘জুসর’ শিরোনামে আয়োজিত প্রদর্শনীর দ্বিতীয় আসর। জুসর অর্থ মূল সম্পর্ক।

১০ মে শুরু হওয়া এই প্রদর্শনীর লক্ষ্য- মরক্কো এবং সৌদি আরবের ঐতিহাসিক সম্পর্ককে জোরদার এবং বিরল ইসলামি পাণ্ডুলিপি ও শিল্পকর্ম প্রদর্শন করা। সেই সঙ্গে ইসলামের মধ্যপন্থা নীতি ও ভারসাম্যের মূল্যবোধ ছড়িয়ে দেওয়া। সৌদি আরব ও মরক্কোর ইসলাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এই প্রদর্শনী চলবে ২০ মে পর্যন্ত।

প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন সৌদি আরবের ইসলাম বিষয়ক মন্ত্রী শায়খ আবদুল লতিফ বিন আবদুল আজিজ বিন আবদুর রহমান আলে-শায়খ। এ সময় মরক্কোর ইসলাম বিষয়ক মন্ত্রী আহমেদ তওফিক, রাবাতে নিযুক্ত সৌদি রাষ্ট্রদূত সামি বিন আবদুল্লাহ আল-সালেহ এবং মারাকেশের গভর্নর ফরিদ চৌরাকসহ দুই দেশের উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অতিথিরা দুই দেশের ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক নানাদিক তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন।

প্রদর্শনীতে ৭৮ ভাষায় অনূদিত কোরআনের পাশাপাশি রয়েছে বিরল পাণ্ডুলিপি, ইসলামি কর্ম, ঐতিহাসিক মসজিদ পরিচিতি, হজ অনুষ্ঠানের ইতিহাস, বিখ্যাত কারিদের কণ্ঠে কোরআন তেলাওয়াত এবং আরবি ক্যালিগ্রাফি। প্রদর্শনীতে শিশুদের জন্য আলাদা ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

অনুষ্ঠানে সৌদি মন্ত্রী শায়খ আবদুল লতিফ বলেন, প্রদর্শনীটি ইসলাম ও মুসলমানদের সেবায় নিবেদিত। দুই দেশের বিভিন্ন কার্যক্রমের লক্ষ্য হলো, প্রকৃত ইসলামি মূল্যবোধ সমুন্নত রাখা। দুই দেশের মধ্যকার চলমান সম্পর্কের প্রশংসা করে তিনি বলেন, এ মূলে রয়েছে ধর্মের গভীর ভিত্তি। এ সময় তিনি উভয় দেশের গৃহীত মানবিক উদ্যোগ নিয়েও কথা বলেন। যা ইসলামের মহত্ত্ব এবং সভ্যতাকে প্রতিফলিত করে।

প্রদর্শনীর সৌদি প্যাভিলিয়নে প্রদর্শিত হচ্ছে ৭৮ ভাষায় অনূদিত কোরআন। যেগুলো ছাপা হয়েছে সৌদি আরবের কিং ফাহাদ কোরআন মুদ্রণ কমপ্লেক্স মদিনায়। সৌদি প্যাভিলিয়নে আরও রয়েছে কোরআন মুদ্রণের সরঞ্জাম এবং মুদ্রণের আগের ধাপ নিয়ে বিশেষ প্রামাণ্য চিত্র।

উল্লেখ্য, কিং ফাহাদ কোরআন মুদ্রণ কমপ্লেক্স বিশ্বের বৃহত্তম কোরআন মুদ্রণ সংস্থা। ১৯৮৫ সালে স্থাপিত এই প্রতিষ্ঠান থেকে কোরআনে কারিমের ৪০ কোটিরও বেশি কপি ছাপা হয়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কোরআন ছড়িয়ে দেওয়া এবং ইসলামি মূল্যবোধকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়ার জন্য এই প্রতিষ্ঠানের অবদান বিশ্বজুড়ে স্বীকৃত।