অস্টেলিয়া ১০:৫৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৩ অগাস্ট ২০২৫, ২৯ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ঐতিহাসিক ৭ মার্চ আজ

  • Reporter Name
  • Update Time : ০২:৫১:৩৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৭ মার্চ ২০২৫
  • ১০১ Time View

আজ ঐতিহাসিক ৭ মার্চ। বাঙালি জাতির স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে এই দিনটি অনন্য। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ভাষণের দিন। ১৯৭১ সালের এই দিনে ঐতিহাসিক রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমানে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) বিশাল জনসমুদ্রে দাঁড়িয়ে শেখ মুজিবুর রহমান এই ভাষণের মধ‍্য দিয়ে পরবর্তী দিক নির্দেশনা দেন।

এইদিন লাখো মুক্তিকামী মানুষের উপস্থিতিতে শেখ মুজিব বজ্রকণ্ঠে ঘোষণা করেন, ‘রক্ত যখন দিয়েছি রক্ত আরও দেবো। এ দেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়বো, ইনশাআল্লাহ। এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম, জয় বাংলা।’ এই ভাষণ বাঙালির স্বাধীনতা-মুক্তি ও জাতীয়তাবোধের প্রতীক হয়ে ওঠে সেসময়। হয়ে ওঠে মুক্তিযুদ্ধের রণকৌশল।

বঙ্গবন্ধুর এই ভাষণ বাঙালির রাজনৈতিক দলিল। বঙ্গবন্ধুর দেওয়া ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণটি যুদ্ধকালে বাঙালি জাতির জীবনে অত্যন্ত গুরুত্ব ও তাৎপর্য বহন করেছে এবং বাঙালি জাতির অনুপ্রেরণার অনির্বাণ শিখা হয়ে অফুরন্ত সাহস যুগিয়েছে। মাত্র ১৯ মিনিটের ভাষণে তিনি ইতিহাসের পুরো চিত্র মানুষের সামনে তুলে ধরেন। তিনি ভাষণে সামরিক আইন প্রত্যাহার, জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরসহ সেনাবাহিনীকে ব্যারাকে ফিরিয়ে নেওয়া এবং বিভিন্ন স্থানের হত্যাকাণ্ডের তদন্তে বিচার বিভাগীয় কমিশন গঠনের দাবি জানান।

এ ভাষণ শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলিলই নয়, জাতির সাংস্কৃতিক পরিচয় করিয়ে দেয়। বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ জাতিসংঘের ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্যের দলিল হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। এছাড়া এ ভাষণটি পৃথিবীর অনেক ভাষায় অনুদিত হয়েছে।

Tag :
About Author Information

ঐতিহাসিক ৭ মার্চ আজ

Update Time : ০২:৫১:৩৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৭ মার্চ ২০২৫

আজ ঐতিহাসিক ৭ মার্চ। বাঙালি জাতির স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে এই দিনটি অনন্য। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ভাষণের দিন। ১৯৭১ সালের এই দিনে ঐতিহাসিক রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমানে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) বিশাল জনসমুদ্রে দাঁড়িয়ে শেখ মুজিবুর রহমান এই ভাষণের মধ‍্য দিয়ে পরবর্তী দিক নির্দেশনা দেন।

এইদিন লাখো মুক্তিকামী মানুষের উপস্থিতিতে শেখ মুজিব বজ্রকণ্ঠে ঘোষণা করেন, ‘রক্ত যখন দিয়েছি রক্ত আরও দেবো। এ দেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়বো, ইনশাআল্লাহ। এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম, জয় বাংলা।’ এই ভাষণ বাঙালির স্বাধীনতা-মুক্তি ও জাতীয়তাবোধের প্রতীক হয়ে ওঠে সেসময়। হয়ে ওঠে মুক্তিযুদ্ধের রণকৌশল।

বঙ্গবন্ধুর এই ভাষণ বাঙালির রাজনৈতিক দলিল। বঙ্গবন্ধুর দেওয়া ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণটি যুদ্ধকালে বাঙালি জাতির জীবনে অত্যন্ত গুরুত্ব ও তাৎপর্য বহন করেছে এবং বাঙালি জাতির অনুপ্রেরণার অনির্বাণ শিখা হয়ে অফুরন্ত সাহস যুগিয়েছে। মাত্র ১৯ মিনিটের ভাষণে তিনি ইতিহাসের পুরো চিত্র মানুষের সামনে তুলে ধরেন। তিনি ভাষণে সামরিক আইন প্রত্যাহার, জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরসহ সেনাবাহিনীকে ব্যারাকে ফিরিয়ে নেওয়া এবং বিভিন্ন স্থানের হত্যাকাণ্ডের তদন্তে বিচার বিভাগীয় কমিশন গঠনের দাবি জানান।

এ ভাষণ শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলিলই নয়, জাতির সাংস্কৃতিক পরিচয় করিয়ে দেয়। বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ জাতিসংঘের ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্যের দলিল হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। এছাড়া এ ভাষণটি পৃথিবীর অনেক ভাষায় অনুদিত হয়েছে।